দুই পেনাল্টি মিস করেও শেষ ষোলোয় মেসিহীন বার্সা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দুই স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় তেঁতুলিয়া থানায় দায়ের হওয়া দুটি মামলা বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকালে ওই দুই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য তাদেরকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার মঙ্গলবার দুপুরে ওই দুই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুরের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সারাদিন বিভিন্নস্থানে ঘোরাঘুরির পর রাতে তাদেরকে ওমর ফারুক ইমনের কাছে হস্তান্তর করে। ইমন, আনোয়ার ও সোহাগ তাদেরকে দেবনগর ইউনিয়নের পাথরঘাটা নিজবাড়ি এলাকার আব্বাস আলীর বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তারা সহ অপর আসামিরা ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এতে দুই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখানে তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গভীর রাতে দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে তেঁতুলিয়া থানার পুলিশ বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
থানায় দুই কিশোরীর জবানবন্দি অনুযায়ী, ভজনপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই কিশোরীর বাবা থানায় অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে।
দুই ছাত্রীর পরিবারের দাবি তাদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে।
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম জানান, দুই কিশোরীর বাবা অপহরণের পর ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) সুদর্শন কুমার রায় জানান, এ ঘটনায় তিন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই দুই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এনএন