ইউএইতে শুধু সরকারিভাবে লোক যাবে : প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী

গতকাল শুক্রবার বিকেলে পৌর শহরের উত্তরপাড়া বাজার এলাকায় বৃদ্ধা অমৃতা হালদারকে ভিক্ষা করতে দেখে তিনি বয়স্ক ভাতা পান কিনা প্রশ্ন করলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জানান- বয়স্ক ভাতা তো দূরের কথা শীত নিবারণের জন্য তার একটি কম্বলও নেই। নূন্যতম সরকারি কোন সাহায্যই তার ভাগ্যে জোটেনি। স্থানীয় সরকার ও জাতীয় সংসদ প্রতিটি নির্বাচনে তিনি ভোট কেন্দ্রে ছুটে যান তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। প্রতিবার নির্বাচনের প্রাক্কালে ভাতা দেওয়া সহ নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও নির্বাচনের পরে জনপ্রতিনিধিরা আর তার খোঁজ রাখেন না। তার ঐকান্তিক বিশ্বাস তার এ যাপিত জীবনের কাহিনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানতে পারলে অবশ্যই তার পাশে দাঁড়িয়ে দুঃখ-দুর্দশা থেকে তাকে মুক্ত করে দিবেন। এদিকে তার এ করুণ কাহিনী শোনার মুহূর্তে সেখান থেকে পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাকে তার বাসার পাশে ওই বৃদ্ধা ভাড়া বাসায় বসবাস করে ভিক্ষাবৃত্তি করা ও ভাতা সহ নূন্যতম সরকারি কোন সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি ওই বৃদ্ধাকে তাৎক্ষণিক একটি কম্বল কিনে দিয়ে ভাতার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখবেন বলে জানান।
মেয়রের তাৎক্ষণিক এ মহানুভবতায় বৃদ্ধার সাময়িক শীত নিবারণের ব্যবস্থা হলেও সহৃদয়বান কোন ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়ালে পথে-প্রান্তরে মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষাবৃত্তি করে তাকে আর জীবনের অন্তিম মুহূর্তে জীবন নামের রেল গাড়িটা চালাতে হবে না। আমরা কি পারি না বৃদ্ধার জীবনের শেষ দিনগুলোতে তাকে একটু সুখের পরশ দিতে ?
88SHARESShareTweet