বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তিতে আসতে যাচ্ছেন লিটন?

যেমনি হোক না কেনো সবার দু:খ , কষ্ট , হাসি , বেদনার রং এক , চোখের নোনা জলের রং ও এক ….।তারপরও জীবন মানুষ ভেদে ভিন্নভাবে প্রবহমান,একেক জনের কাছে জীবনের অর্থ একেক রকম , কেউ কেউ জীবন যেমনি হোক না সেটাকে সেভাবে উপভোগ করে নিচ্ছে , চাওয়া পাওয়ার হিসেবটা হয়তো তাদের কাছে অনেক কম, না পাওয়ার হিসেব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই কোনো কিংবা জীবনের কাছে পাওয়া বা চাওয়ার কোনো দাবি দাওয়া নেই….তবে তাঁরাই বুদ্ধিমান ।কেননা জীবনের কাছে যার চাওয়া পাওয়ার হিসেব যত বেশি তার তত বেশি কষ্ট , অভিমান , দু:খ।।
কিছু কিছু মানুষ অর্থ , দাম্ভিকতাকে সুখ মনে করে , আবার কেউ প্রতারণায় সুখ পায় আবার কেউ মিথ্যে অহমিকায় সুখ পায় । অথচ এগুলো সুখ নামের মহা অসুখ কিংবা মানসিক বিকারগ্র্রস্ত মানুষ , এরা পারে না নিজেরা সুখি হতে তাই অন্যের সুখ হরণে মজা পায় । এ ধরনের মানসিক বিকারগ্র্রস্ত মানুষ আমাদের চারপাশে বহু , এরা মুখোশ পডা ভদ্র মানুষ ।সময় মতো এরা এদের মুখোশ উম্মোচন করে , এতে ভুক্তভোগীর কষ্টের চেয়ে বিষ্ময় বেশি হওয়া উচিত ,এই কারনে যে আল্লাহ এই মানসিক রোগ থেকে রক্ষা করেছে। এটা যে কত বড় ভয়ঙ্কর মানসিক রোগ , যে মানসিক রোগী সে হয়তো বোঝেনা তাই হয়তো এর চিকিৎসা হয় না ।এসব রোগীর জন্য করুণা হয় আর নিজের জন্য ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তাকে।
আজ কাল সম্পর্কের বহুগামিতা অনেক বেশি । কেউ কেউ একে প্রেম , ভালবাসা বন্ধুত্বের নাম দেয় । আসলে কি তাই ? প্রেম , ভালবাসার কি বহুগামিতা আছে ? নাকি বন্ধুত্বের মাঝে শারিরীক সম্পর্ক আছে ? বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের প্রেম , ভালবাসা কিংবা বন্ধুত্বের প্রভাব অনেক বেশি । আর এর স্বীকারে আক্রান্ত হচ্ছে শতকরা আশি ভাগ নারীরা (কিশোর বয়স থেকে বয়স্ক ) ।
পুরুষরা হচ্ছে না তা কিন্তু না তবে শতকরা ত্রিশ ভাগ পুরুষ । অর্থাৎ নারীর পরিমান বেশি।হয়তো কেউ ভালবাসা নামে ছলনার ফাঁদে , কেউবা সুন্দরের মোহে , কেউবা প্রাচুর্য বা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লোভে । কারন যা হোক না কেনো উদ্দেশ্য কিন্তু একটাই , সেটা হলো যৌনতা।
ইচ্ছার বিরুদ্ধে যে শারিরীক সম্পর্ক করা হয় , সেটাকে বলে ধর্ষণ, কিন্তু যখন ভালবাসার নামে মিথ্যে ফাঁদে ফেলে যে সম্পর্ক তৈরি করা হয় সেটাও কি ধর্ষণের পর্যায় নই??
এখানে তো শরীর , মন দুটোর সাথে সমান তালে প্রতারণা চলে, শুধু একবার নয় বহুবার ধর্ষিত হয় … কিন্তু এই ধর্ষণের ধর্ষকের বিচার হয় না, কারন আদালত বলবে ধর্ষিতা সেচ্ছায় করেছে অথচ ধর্ষক ধর্ষিতা কে মিথ্যে ছলনায় অনেক বড় প্রতারণা করেছে অর্থাৎ ধর্ষিতা যেটাকে ভালবাসা বলেছিল সেটা ছিল ধর্ষকের “ধর্ষন ফাঁদ”।
কত ভয়ঙ্কর এই মানুষ নামক প্রাণী গুলো। একটার পর একটা নারী ভোগ করা যেনো এদের উদ্দেশ্য , আর আমাদের দেশে লাঞ্চিত হয় ,অবহেলিত হয় এই নারী গুলো । কিন্তু , আমার দৃষ্টিতে যেসব পুরুষ বা নারী যারাই বহুগামিতায় আসক্ত তারা আসলে বহু নারী বা পুরুষ দ্বারা ব্যবহৃত , তাদের কোনো বিবেক বা রুচিবোধ নেই , ওরা হলো উম্মুক্ত খোলা আগাছায় ভরা বাগান যেখানে যে কেউ যখন তখন বিচরণ করতে পারে।।
ধর্ম সম্পর্কে আমার অনেক বেশি ধারণা নেই ,তবে এ কথা সত্য, “ সৃষ্টিকর্তা ধন সম্পদ দান করার সময় ভাল মন্দ মানুষ বিচার করেন না , কিন্তু ভাল স্বভাব তিনি দান করেন তার প্রিয় বান্ধাদের , যাকে তিনি ভালবাসেন”।
অর্থ , ক্ষমতার দাম্ভিকতায় আমরা যত বড় হয় না কেনো , অর্থ বা ক্ষমতা কখনো কোনো মানুষের পরিচয় হতে পারে না, মানুষের আসল পরিচয় তার স্বভাব , তার ব্যবহার , তার মানুষের প্রতি মানুষের বিশ্বাস ,আচরন ,সম্মানবোধ আর ভালবাসা ।
তবে সব জায়গায় নারী লোভী মানুষ গুলো কম বেশি থাকে কিন্তু প্রকাশ বেশি মিডিয়া কিংবা রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রে। এজন্য নারীদের পডতে হয় বিড়ম্বনায় , অনেক ইচ্ছে থাকা সর্তেও অনেক ভাল পরিবারের শিক্ষিত নারীরা এই পেশায় আসতে পারে না , যদি এসেও পড়ে , তাহলে সমাজ তাকে বাঁকা চোখে দেখে। কি অদ্ভুত আমাদের সমাজ ব্যবস্হা? কি অদ্ভুত নিয়ম কানুন? যারাই নারীলোভী , তাঁরাই আবার বানায় এই নিয়ম??
সর্বশেষ মূলকথা হলো , এই কুৎসিত মানসিক রোগী গুলো চিহ্নিত করে , উপযুক্ত চিকিৎসা এবং শাস্তির ব্যবস্হা করা হলে আমাদের এই সমাজ এসব রোগী থেকে রেহাই পাবে।
77SHARESShareTweet